ষষ্ঠ বর্ষ। প্রথম সংখ্যা জানুয়ারি - মার্চ ২০২৪

গল্প

চরিত্র

সুদীপ সরকার

সব্যসাচী মজুমদার এলাকার একজন প্রথিতযশা  শিক্ষক। ইংরাজী সাহিত্যে তার অগাধ পান্ডিত্যের জন্য নিজের এলাকার বাইরে বিস্তীর্ণ অঞ্চলেও তিনি সমানভাবে সমাদৃত। ছোটোবেলা থেকেই অত্যন্ত মেধাবী সব্যসাচী সাংসারিক অস্বাচ্ছন্দ্যের বিরুদ্ধে লড়াই করেই বড় হয়েছেন। শত প্রতিকূলতাতেও সে কখনও হতোদ্যম হয়ে পড়েনি বা নিজ আদর্শ থেকে বিচ্যুত হয়নি। সব্যসাচী নিজে যখন ক্লাস এইট কিম্বা নাইনে পড়ত তখন থেকেই সে তার নীচের ক্লাসের ছাত্র-ছাত্রীদের পড়াতো নিজেদের গ্রাসাচ্ছাদনের বন্দোবস্ত করার জন্য। নিতান্তই আটপৌরে কৃষক পরিবারের ছেলে সব্যসাচী টিউশন করে যা অর্থোপার্জন করতো তার প্রায় সবটাই বাবার হাতে তুলে দিতো সংসার চালানোর জন্য। শিক্ষকরা সব্যসাচীকে খুব ভালোবাসতো শুধুমাত্র তার মেধার জন্য নয় বরং অনেক বেশী তার সততার জন্য। ছোটোবেলা থেকেই অত্যন্ত দৃঢ়চেতা সব্যসাচী নিজের যোগ্যতায় কিছু করার কথা ভাবতো। অবাঞ্ছিত ভাবে কারোও থেকে কোনো সুযোগ নিতে তার প্রচন্ডভাবে আত্মমর্য্যাদায় লাগতো। এহেন সব্যসাচীর ঘরণী সুকন্যা গৃহবধূ হলেও উচ্চাকাঙ্ক্ষী।  স্বামী তার মেধা কাজে লাগিয়ে আরোও অর্থোপার্জন করুক এটাই তার অভিপ্রায়। সব্যসাচী বেশ কিছু গরীব ছাত্র-ছাত্রীকে বিনি পয়সায় পড়ায় এটা সুকন্যার মোটেই পছন্দ নয়। সব্যসাচী-সুকন্যার একমাত্র সন্তান ঋষভ। সে বাড়িরও এই প্রজন্মের একমাত্র পুত্র সন্তান কারণ সব্যসাচীর দাদা-বৌদির একমাত্র কন্যা সন্তান নীলিমা। ঋষভ  শুধুমাত্র পুত্র সন্তান হওয়ার কারণে তার ঠাকুমার কাছ থেকে অতিরিক্ত স্নেহজনিত প্রশ্রয় পায় তার সাথে সুকন্যার অতিরিক্ত আদিখ্যেতা তো আছেই। এই বিষয়গুলো সব্যসাচীর একদমই পছন্দ নয়। সে অনেকবার তার মা ও বৌ কে বুঝিয়েছে যে এগুলো করে তারা আদপে ঋষভের ক্ষতিই করছে কিন্তু তার কথায় উভয়েই বিশেষ কর্ণপাত করেনি। সব্যসাচী ঋষভের অতিরিক্ত চাহিদাগুলোকে একদমই পাত্তা দেয় না বরং ভাইঝি নীলিমার সাথে পুত্র ঋষভকে একই পঙক্তি তে রেখে উভয়ের নূন্যতম চাহিদাগুলোই কেবলমাত্র মেটায়। সব্যসাচী অনেকবার লক্ষ্য করেছে ঋষভ ও নীলিমা একসাথে খেতে বসলে মাছের বড় মাথাটা তার মা নাতির পাতেই দেয় কখনও নাতনির পাতে দেয় না, নাতনি বায়না করলেও ঠাকুমা ঠারেঠোরে বুঝিয়ে দেয় যেকোনো ভালো জিনিষের ওপর বাড়ির ছেলের অগ্রাধিকার। এই ব্যাপারগুলোতে সুকন্যা খুব আহ্লাদিত হয় কিন্তু সব্যসাচীর  এগুলো একদম অপছন্দের। বিষয়গুলো ঋষভ যে খুব উপভোগ করতে শুরু করেছে তা শিক্ষক সব্যসাচীর দৃষ্টি এড়ায়নি। সে বহুবার তার মা কে বুঝিয়েছে যে এসব করে আখেরে তিনি তার নাতির ক্ষতিই করছেন। এতে করে ঋষভের উন্নত চরিত্র গঠন বাধাপ্রাপ্ত হচ্ছে, কিন্তু কে কার কথা শোনে। ক্লাস ফাইভে সব্যসাচী ঋষভকে তার নিজের স্কুলেই ভর্তি করালো। সব্যসাচী ইস্কুলে প্রধান শিক্ষক বাণীব্রত বাবু সহ সকল সহকর্মীকে বলে রেখেছে যে ঋষভ তার ছেলে বলে ইস্কুলে অতিরিক্ত সুবিধা যেনো না পায় বরং সে ঋষভকে তার কর্মক্ষেত্রে নিয়ে এসেছে এই কারণেই যেনো ঋষভ অনুশাসনের শিক্ষা আরো ভালো করে পায়। সব্যসাচী তার সহকর্মীদের কে এব্যাপারে তাকে সাহায্য করার অনুরোধ জানায়।  ঋষভ এখন ক্লাস সেভেনে পড়ে। বিগত দু বছরে ঋষভ পরীক্ষায় খুব ভালো ফল করতে পারেনি বরং মোটামুটি নাম্বার পেয়েই পাস করেছে। সব্যসাচীও নিজের মনকে এই বলে মানিয়ে নিয়েছে যে ঋষভ উচ্চ মেধার ছেলে একদমই নয় বরং কিছুটা মধ্য মেধার ছেলে। সে জানে কোনো ব্যক্তির মেধার ঘাটতি অতিরিক্ত অনুশীলন দিয়ে পুষিয়ে দেওয়া সম্ভব যদি সেই ব্যক্তির জেদ থাকে। এই জেদ গড়ে ওঠার জন্য প্রয়োজন অতিরিক্ত পরিশ্রম করার মানসিকতা। জেদকে সঠিক পথে পরিচালিত করার জন্য অবশ্যই প্রয়োজন মূল্যবোধের পাঠ। ইস্কুলে এখন বাৎসরিক পরীক্ষা চলছে। সব্যসাচী একাকী টিচারস রুমে বসে আপনমনে বিষয়ভিত্তিক চর্চায় মগ্ন। এমন সময় প্রধান শিক্ষক বাণীব্রত বাবুর ডাক এলো। উর্দ্ধতনের ঘরে ঢুকে সব্যসাচী দেখলো তার আর এক সহকর্মী চিরঞ্জীতও ঐ ঘরে বসে আছে। প্রধান শিক্ষকের চেয়ারে বসে থাকা বাণীব্রতবাবুর মুখ যেনো আজ অন্যদিনের থেকে বেশী গম্ভীর, চিরঞ্জীতের মুখটাও কেমন যেনো থমথমে। কোনো এক অজানা আশঙ্কায় সব্যসাচীর বুকটাও যেনো একটু কেঁপে উঠলো। সে বুঝতে পারলো তারা দুজনেই তাকে যেনো কিছু বলতে চাইছে কিন্তু বাণীব্রতবাবু অহেতুক কাজের অছিলায় যেনো সময় নষ্ট করছে। ঘরের মধ্যে তখন শ্মশানের নিস্তব্ধতা। অবশেষে নীরবতা ভেঙ্গে সব্যসাচীর চোখের দিকে তাকিয়ে কিছুটা অপ্রতিভ অবস্থায় বাণীব্রতবাবু বলতে শুরু করলো " আজ ক্লাস সেভেনের পরীক্ষার ঘরে চিরঞ্জীতের গার্ড ছিলো। ওদের আজ সায়েন্স পরীক্ষা ছিল। চিরঞ্জীত ঋষভকে টুকলি করতে দেখে। চিরঞ্জীত সঙ্গে সঙ্গে ঋষভের খাতা কেড়ে নেয় কিন্তু টুকলি করা কাগজটা হস্তগত করতে পারেনি তাই কোনো প্রমাণ নেই....."। সব্যসাচীর কানে আর কোনো কথা ঢুকছে না। বিনা মেঘে বজ্রপাতের মতো আসা এই হঠাৎ আঘাতে সে যেনো বাকরুদ্ধ হয়ে গেছে। শুধু বাণীব্রতবাবুর একটা কথাই তার হৃদয়ঙ্গম হলো " সিদ্ধান্ত তোমার, তুমি মনে করলে ঋষভকে শাস্তি দিতে পারো আবার মনে করলে চিরঞ্জীতকে তিরষ্কারও করতে পারো কারণ টুকলির কোনো প্রমাণ তো নেই"। সব্যসাচী নিজেকে কিছুটা সামলে নিয়ে বললো "স্যার আমাকে দুদিন সময় দিন"। টিচারস রুমে তার কিছু সহৃদয় বন্ধু তাকে  পরামর্শ দিলো " বুঝছিস না, চিরঞ্জীত তোর ভাবমূর্ত্তিকে কালিমালিপ্ত করতে চাইছে। শিক্ষক হিসেবে তোর এতো সুনাম ওর সহ্য হচ্ছে না। ও ইচ্ছে করে ঋষভকে ফাঁসিয়েছে। ওটা বড্ড মাতব্বর হয়েছে। চিরঞ্জীত কে তুই একটা উচিত শিক্ষা দে তো"। সব্যসাচী সব শুনে শান্ত গলায় বললো "দেবো"। এরপর সব্যসাচী একদম শান্ত চিত্তে বাড়িতে ঢুকল। সুকন্যার মুখের দিকে তাকিয়ে দেখল যেনো শ্রাবণের কালো মেঘ তার মুখকে গ্রাস করেছে আর তার মায়ের মুখেও চিন্তার গভীর ভাঁজ পড়েছে। এরপর সে স্বগতোক্তির ঢঙে বলল " আমি ভাবতে পারছি না চিরঞ্জীত এমন একটা কাণ্ড ঘটাতে পারে, তোর সাথে আমার শত্রুতা কিন্তু তা বলে তুই আমাদের বিবাদের মধ্যে আমার বাচ্চা ছেলেটাকে টেনে আনবি, আমার নিরীহ ছেলেটাকে তুই এভাবে ফাঁসালি"। সুকন্যা ও তার শাশুড়ি যেনো নিজেদের কানকে বিশ্বাস করতে পারছে না। তারা ধাতস্থ হতে কিছুটা সময় নিল তারপর সুকন্যা বলল " ভাবো একবার, আমার সোনা ছেলেটাকে কিনা এইভাবে অপদস্থ করলো, তোমার সঙ্গে ওনার শত্রুতার খেসারত কিনা আমার ছেলেকে দিতে হল"। ঋষভের ঠাকুমাও ঋষভের পক্ষ নিয়ে বলল " আমার দাদুভাই কখনও একাজ করতে পারে না, তুই দেখিস ওর যেনো কোনো ক্ষতি হয়ে না যায়"। সব্যসাচী বলল " হ্যাঁ আমি জানি তো মা, তুমি চিন্তা কর না, আমি তোমায় কথা দিচ্ছি যে আমি তোমার নাতির কোনো ক্ষতি হতে দেবো না"। ঋষভ বাবা-মা-ঠাকুমার পুরো কথোপকথনটা শুনে মনে একটু বল পেলো। সব্যসাচী ঋষভের গালে আলগা স্নেহজনিত টোকা মেরে বলল" তুই চিন্তা করিস না বাবা, আমি থাকতে তোর কোনো ক্ষতি হতে দেবো না"। সুকন্যার ধড়ে যেনো প্রাণ এলো, কত্তা যে বুঝেছে আমাদের ঋষভ কোনো দোষ করেনি এতেই ঢের হয়েছে বাকীটা ও ঠিক বুঝে নেবে। পরের দিন সব্যসাচী যথারীতি ইস্কুলে গেলো, ক্লাসও নিলো এবং অফ পিরিয়ডে টিচারস রুমেও বসলো, বেশ কিছু সহকর্মী বন্ধু চিরঞ্জীতের নামে তার কানও ভারী করল। আজ কিন্তু সে সবকিছুতেই নির্লিপ্ত থাকলো এবং সারাদিন

চিরঞ্জীতকে একটু এড়িয়েই চলল। এখন রাত দশটা বাজে। ঋষভ রাতের খাওয়া দাওয়ার পর বাকী থাকা কিছু হোমটাস্ক সারছে।  সুকন্যা রান্নাঘরে টুকিটাকি কিছু কাজ করছে। ঘরে এখন শুধু বাপ আর বেটা। বাবা ছেলের সাথে ইয়ার্কি- মজা শুরু করল। পরিবেশটা একদম হালকা হয়ে যাওয়ার পর সস্নেহে ছেলেকে  জিগ্যেস করল "তোর কি সায়েন্স টা বুঝতে অসুবিধা হচ্ছে" প্রশ্নটা শুনে ঋষভের বুকটা ছ্যাঁত করে উঠলো। ঋষভ আমতা আমতা করে কিছু একটা বলতে যাবে তখনই মোক্ষম প্রশ্নটা তার দিকে ধেয়ে এলো। " তুই চিরঞ্জীতের চোখ এড়িয়ে টুকলির কাগজটা কীভাবে সরালি?" ঋষভের যেনো পায়ের তলা থেকে মাটি সরে যাচ্ছে, সে নিতান্তই অপ্রস্তুত হয়ে পড়ল। সে বুঝতে পারলো তার শিক্ষক পিতার চোখ সব কিছু বুঝে ফেলেছে।  এখন বাবার রক্তচক্ষুর সামনে দোষ কবুল করা ছাড়া কোনো গতি নেই। পরের দিন সব্যসাচী ইস্কুলে প্রধান শিক্ষকের ঘরে ঢুকল, দেখলো বাণীব্রত বাবুর পাশের চেয়ারে ইস্কুল ম্যানেজমেন্ট কমিটির দন্ডমুন্ডের কর্তা বসে আছেন। সব্যসাচী বলল "স্যার চিরঞ্জীতকে ডেকে নিন, আজই তো ঋষভের ব্যাপারে আমার সিদ্ধান্ত জানানোর দিন"। চিরঞ্জীত আসার পর সব্যসাচী শুরু করলো " স্যার ঋষভ সত্যই অন্যায় করেছে। ও যে টুকলি করছিলো সেটা ও কাল রাতে আমার কাছে স্বীকার করেছে। আপনি ও কে যথাযথ শাস্তি দিন।" ঘরে উপস্থিত সবাই স্তম্ভিত হয়ে গেলো। বাণীব্রত বাবু বলল " আমি জানতাম সব্যসাচী তুমি এরকমই কিছু একটা সিদ্ধান্ত জানাবে কারণ তোমার সততার ওপর আমার পূর্ণ আস্থা ছিল তাই সিদ্ধান্ত নেওয়ার ভারটা আমি তোমার ওপরই ছেড়েছিলাম। তবে আমরা ভেবেছি যেহেতু ঋষভ প্রথমবার এই অন্যায় করেছে তাই  ও কে আমরা সতর্ক করে ছেড়ে দেবো, ওর ক্লাস প্রোমোশনটা আটকাবো না। তাছাড়া দেখলাম ওর হাফ ইয়ার্লি পরীক্ষাতে সায়েন্সে ভালো মার্কই আছে"। এসব শুনে সব্যসাচী বলল " তাহলে স্যার ঋষভ আমার ছেলে বলে ও এই অতিরিক্ত সুবিধাটুকু পাচ্ছে নাহলে গত বছর ম্যানেজমেন্ট কমিটির সভাতে তো সিদ্ধান্ত নেওয়াই হয়েছিলো যে বাৎসরিক পরীক্ষায় কোনো ছাত্রছাত্রী অসদুপায় অবলম্বন করলে তাকে চরম শাস্তি স্বরূপ ঐ ক্লাসেই আরো একবছর রেখে দেওয়া হবে। ঋষভ একই দোষ করেছে তাই ওর একই শাস্তি পাওয়া উচিত। এক্ষেত্রে সিদ্ধান্ত নেওয়ার ভারটা যখন আপনি আমাকে দিয়েছেন তখন আমার পুরো সিদ্ধান্তটাই আপনার শোনা উচিত"। সব্যসাচীর কঠিন মনোভাবের কাছে বাণীব্রত বাবু হার মানলেন। সহকর্মীদের টিকা টিপ্পনী সব্যসাচীর কানে আসছে " সততার পরকাষ্ঠা, নিজে মহান হওয়ার জন্য ছেলেটাকে বলির পাঁঠা করল.....ইত্যাদি"। সব্যসাচী কিন্তু নিজের বিবেকের কাছে পরিষ্কার। সে এই সিদ্ধান্তটা নেওয়ার আগে অনেকবার নিজের মনকে প্রশ্ন করেছে যে সে ঠিক করছে কিনা। প্রতিবারই সে উত্তর পেয়েছে হ্যাঁ এটাই একমাত্র পথ। দীর্ঘমেয়াদে ঋষভের উন্নত চরিত্র গঠনের জন্য এছাড়া আর কোনো পথ তার কাছে খোলা ছিল না। বাড়িতে ঢোকার সঙ্গে সঙ্গে সুকন্যা বলল "তুমি এত বড় অভিনেতা আমি জানতাম না"।   মা বললেন " তুই এটা কি করলি বাবা"! সব্যসাচী সব শুনে বলল " ঋষভের ভবিষ্যতের কথা ভেবে এই অভিনয়টুকু আমাকে করতে হল নাহলে ও ভয় পেয়ে যেত এবং আমার কাছে সত্যিটা স্বীকার করত না। আর মা, আমি তোমায় কথা দিয়েছিলাম যে ওর কোনো ক্ষতি হতে দেবো না। এই সিদ্ধান্তটা না নিলে ঋষভের বিরাট ক্ষতি হয়ে যেতো। ওর উন্নত চরিত্র গঠন বাধাপ্রাপ্ত হতো"। এরপর সব্যসাচী ঘরে ঢুকে ঋষভের মাথার এলোমেলো চুলগুলোতে হাত বুলিয়ে বলল " এবার থেকে সব বিষয় আমি তোকে পড়াবো। পরের বছর তোকে ক্লাসের তিনজনের মধ্যে একজন করবো। এটা তোর বাবা হিসাবে নয় বরং তোর শিক্ষক হিসাবে আমার চ্যালেঞ্জ"। ঋষভ বাবার বুকে মুখ গুঁজলো।

 

:: ভয়েস মার্ক ::

- দ্বি-মাসিক পত্রিকা -

সম্পাদক: মোঃ আযাদ হোসেন

গ্রাহক পরিষেবা: রনিক পারভেজ, ৯৩৭৮৪৮০১৯১

পাণ্ডুলিপি (ম্যানুস্ক্রিপ্ট) প্রস্তুতি ও সম্পাদনা : মোঃ মিনারুল হক

নামলিপি ও প্রচ্ছদ চিত্র: হিমাদ্রী শেখর মজুমদার

সত্বাধিকার: ভয়েস মার্ক কালচারাল গ্রূপ

RNI Ref. Number: 1343240

-: যোগাযোগ :-

সম্পাদকীয় দপ্তর:
ভগবানপুর , আষাঢ়িয়াদহ
লালগোলা, মুর্শিদাবাদ
পিন - ৭৪২১৪৮

azadm.1981@gmail.com, voicemark19@gmail.com

:: সামাজিক মাধ্যম ::