আরে থামুন, রেগেমেগে প্রথমেই চটি চাটা বলে বসবেন না আবার!
এখন অভ্যেস তো সেটাই, বেশ কিছুকাল ধরে! অন্তত একটি স্মৃতির বিস্মৃতিতে চলে যাওয়া পর্যন্ত!
যেমন ব্রাজিলীয় প্রেসিডেন্ট লুলা দ্য সিলভা!
ভদ্রলোক ব্রাজিলের ওয়ার্কারস পার্টির নেতা। ২০০৩ সালে ব্রাজিলের প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হন! খুব সম্ভবত তারপরেই কলকাতায় আসেন! বামফ্রন্ট সরকার তখন এ রাজ্যে, আন্তর্জাতিক গর্বে গরিয়ান! পৃথিবীতে বুঝি টোটাল বিপ্লব হয়ে গেল!
যাই হোক, লুলা দ্য সিলভা ২০১১ পর্যন্ত ব্রাজিলের প্রেসিডেন্ট পদে আসীন থাকেন! তার সরকারের আর্থিক নীতি কর্পোরেট মুক্তবাজার অর্থনীতির মধ্যে থেকেও দারিদ্র বিমোচন লক্ষ্যে পরিচালিত হয়েছিল। তথ্যে প্রকাশ তিনি প্রায় ২০ মিলিয়ন দেশবাসীকে দারিদ্র সীমার নিচ থেকে তুলতে সক্ষম হয়েছিলেন।
এহেন এক নেতার দুই টার্মের ক্ষমতা নিশ্চয়ই দেশীয় ও আন্তর্জাতিক কর্পোরেটের কিছু অসুবিধার কারণ হয়েছিল! তার সঙ্গে ছিল লিবারেল ডেমোক্র্যাসি জন্মসঙ্গী প্রশাসনিক দুর্নীতি! লিবারেল ডেমোক্র্যাসি মানেই মানবতা বিরোধী কার্যকলাপকে মেনে নেওয়া! তাতেই জনবিক্ষোভ। প্রো-কর্পোরেট নীতি গ্রহণ না করলে সরকারের বিরুদ্ধে নীতি পঙ্গুত্বের অভিযোগ! সাথে সাথে প্রশাসনিক দুর্নীতিকে ক্ষমতাসীন রাজনীতির দুর্নীতি হিসেবে আখ্যায়িত করে, নতুন কোনও রাজনৈতিক ভাগ্যান্বেষীকে ক্ষমতা নিতে জায়গা করে দেওয়ার কর্পোরেটি উদ্যোগ! এই হল অ্যান্টি কোরাপশন মুভমেন্টের নেপথ্যের কাহিনি!
বলেন কি! জি হ্যা, এটাই ব্যাপার! তাহলে কোরাপশন টোরাপশন কিছু ব্যাপার নয়!
হ্যাঁ ব্যাপার তো বটেই! কিন্তু যেটা বটে সেটাকে ঢেকে রাখবার জন্য অন্য কিছু রটানো হয়! কেমন করে? সেই প্রশ্নে যাবার আগে প্রেসিডেন্ট লুলা দ্য সিলভার কী হলো? তার পার্টিরই বা কী হলো? তার সরকার দুর্নীতির দায়ে পড়লো। তিনি দুর্নীতির দায়ে পড়লেন। নির্বাচন থেকে তাকে বাইরে রাখা হলো। অ্যান্টি কোরাপশন মুভমেন্ট গড়ে উঠলো! সেনাবাহিনী থেকে অবসরপ্রাপ্ত ভাগ্যান্বেষী বলসোনারো হলেন কর্পোরেটের গুড বয়! অ্যান্টি কোরাপশন আন্দোলনের ফলশ্রুতিতে এবং লুলা দ্য সিলভার বিরুদ্ধে নানান অপ্রমাণিত দুর্নীতির অভিযোগ সম্বলিত বিচার বিভাগীয় অতি সক্রিয়তা এবং মিডিয়া ট্রায়াল তাকে নির্বাচন থেকে দূরে রাখল! মাঝ খানের কিছুটা সময় অন্যরা ক্ষমতায় থাকলেন। ২০১৯ এ ক্ষমতায় এলেন বলসোনারো।
অতঃপর স্বৈরতন্ত্রের ফণা তোলা! নারী বিদ্বেষ! জাতিবিদ্বেষ! অবাধ কর্পোরেটি লুণ্ঠন!
এইভাবে সেখানে অ্যান্টি কোরাপশন মুভমেন্টের দফারফা! মিডিল ক্লাসের শখ পূরণ করে হাতে হারিকেন ধরিয়ে দেওয়া হল!
স্বৈরতন্ত্রী বলসোনারোর বন্ধুরা কারা? ডোনাল্ড ট্রাম্প, ইমানুয়েল ম্যাক্রোঁ, মোহাম্মদ বিন সালমান, নরেন্দ্র মোদি! বুঝুন ব্যাপারটা!
ঘটনা দুই, আরও এক অ্যান্টি কোরাপশন মুভমেন্ট! লোকপাল বিল! আন্না হাজারে! গান্ধি টুপি! মধ্যবিত্তকে সুন্দর করে টুপি পরানো! মগজ ধোলাই! আরএসএস আণ্ডার নিথ! ২০১১ সাল নাগাদ মনমোহন সিংহ সরকারের বিরুদ্ধে আন্দোলন-প্রচার। কর্পোরেটের উদ্যোগ! ভারতীয় মধ্যবিত্তের ক্রমশ সোচ্চার দাবীঃ শক্ত শাসক চায়! কেন? কর্পোরেটে চেয়েছে তাই! মনমোহন সিংহ সরকারের একদিকে প্রণব মুখার্জি অন্যদিকে মন্টেক সিংহ আলুয়ালিয়া + পি চিদামবরম! শাসক কংগ্রেসের অন্তর্দ্বন্দ্ব! চরম নীতি বনাম মধ্যপন্থা।
প্রো-কর্পোরেট চরম নীতি নেওয়ার ক্ষেত্রে দ্বিধা! অতঃপর মনমোহন সরকারের বিরুদ্ধে নীতি পঙ্গুত্বের অভিযোগ! আর যায় কোথা! সাজাও ব্যাপার। প্রশাসনিক দুর্নীতি আবারও রাজনৈতিক দুর্নীতি হিসেবে চিত্রিত হল! ব্যাস দুর্নীতির বিরুদ্ধে মহিম! বিক্ষোভ – যন্তর মন্তরে, রামলীলা ময়দানে। রামদেবের বোরখা কাণ্ড!
নরেন্দ্র মোদির প্রধানমন্ত্রী পদপ্রার্থী হিসেবে ক্রমশ প্রজেকশন! কর্পোরেট সহযোগে ইমেজ বিল্ডিং! খরচ ১০ হাজার কোটি, দাঙ্গাপুরুষ থেকে বিকাশ পুরুষ! ২০১৪ অতঃপর ক্ষমতা আরোহন! স্বৈরতন্ত্র! অবাধ কর্পোরেট লুণ্ঠন! আরো বিগ বিগ কোরাপশন! এবার একটু লিংক করা যাচ্ছে, এগুলির সাথে তথাকথিত অ্যান্টি কোরাপশন মুভমেন্টকে? অত যে দুর্নীতি হল, কই কংগ্রেসের কে কে জেলে গেলেন, কার কার অপরাধ প্রমাণ হল? একজনেরও নয়। অথচ সরকার পড়ে গেল! ফেলানো হল!
২০২৪ এর লোকসভা নির্বাচন! এমনিতেই শাসকের শিরে সংক্রান্তি। তাকে নতুন নতুন আঞ্চলিক ক্ষেত্রে আসন সংখ্যা বৃদ্ধি করতে হবে। পশ্চিমবঙ্গের মতো রাজ্যগুলিতে হয় পুরনো আসন সংখ্যা ধরে রাখতে হবে অথবা বাড়াতে হবে! এখানে গত ১৩ বছরের মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের শাসনে অ্যান্টি এস্টাবলিশমেন্ট। প্রশাসনিক দুর্নীতি! কিন্তু অসংখ্য জনকল্যাণ মুখী প্রকল্প। ফলে সমাজের নিচু তলার মানুষদের কাছে তাঁর জনপ্রিয়তা অটুট!
রাজ্যের ক্ষমতা দখল জরুরী কেন্দ্রীয় ক্ষমতার কাছে! মমতা বিরাট বাধা! যেনতেন প্রকারেণ রাজ্যের দখল চাই!
সিপিএম ২০১১ সালে মমতার দ্বারা পরাজিত, নিশ্চিহ্ন! খুব রাগ! খুব ক্রোধ! খুব বিদ্বেষ! অত্যন্ত ঈর্ষা! আসুক বিজেপি! শত্রুর শত্রু আমার বন্ধু! ২০১৯ এ বেশ কিছুটা এগিয়ে দেয়া গেছে! একুশেও কিছুটা!
এখন কী করা যায়? রাজনীতির পরিসর বড় সংকীর্ণ! কী করা যায় কোন দিক দিয়ে ঘেরা যায়? ২০১১ পরবর্তী সময়ে মধ্যবিত্তের প্রধান আশা ভরসা প্রায় আড়াই শতাংশ গ্রাজুয়েটের সরকারি চাকরিক্ষেত্রটা নড়বড়ে হয়ে গিয়েছে। স্কুল শিক্ষকতা এবং অতি নগণ্য দপ্তর গত চাকুরী।
দুর্নীতির অভিযোগ আছে, ব্যানার্জির দায় আছে! কিন্তু বিরোধী রাজনীতির একমাত্র রাজনীতি করার ক্ষেত্র কোর্ট সহযোগে নিয়োগ ক্ষেত্রে দুর্নীতি উদঘাটন? আর কোনো পরিসর নেই? ইতা কিতারে ভাই!
এই হচ্ছে 2011 থেকে!
১। শ্রমিক-কৃষক, মাঝারি শিল্পের মানুষ জন, তাদের জীবন জীবিকার প্রশ্নগুলির সব সমাধান হয়ে গেছে? তাহলে সেইখানে আন্দোলন করার কোনো অবকাশ নেই?
২। ১০০ দিনের কাজের ক্ষেত্রে টাকা আটকে দেওয়াসহ কর্মদিবস কমানো, বাজেট কমানো, মজুরি বৃদ্ধি না করা এগুলি আন্দোলনের বিষয় হয় না?
৩। নতুন পাবলিক প্রাইভেট পার্টনারশিপ মডেলে শিল্প কেন হচ্ছেনা, কেন প্রাইভেট ক্ষেত্রেও নিয়োগ নেই — এগুলি আন্দোলনের বিষয় হচ্ছেনা কেন?
৪। কৃষিক্ষেত্রে সার-কীটনাশক প্রভৃতির মূল্যবৃদ্ধি তথা ভর্তুকি কমানো আন্দোলনের বিষয় হচ্ছে না কেন? কৃষক কেন ফসলের দাম পাচ্ছেনা? — এগুলি আন্দোলনের বিষয় হয়না?
৫। রান্নার গ্যাসসহ দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধির বিরুদ্ধে আন্দোলন করা যায় না?
৬। রাজ্যের সরাকারী ক্ষেত্রে নিয়োগের যেটুকু সুযোগ সেটাকে কীভাবে দ্রুত করা যায়, তার রূপরেখা বের করে অনিয়মগুলি উদঘাটোন করা যায় না? নাকি পপুলার অ্যান্টি কোরাপশন মুভমেন্টের মাধ্যমে চটজলদি সরকার ফেলার চেষ্টাটাই প্রধান ব্যাপার? আর তার জন্য নিয়োগ আটকাতে হবে, মিডিল ক্লাসকে বিক্ষুব্ধ করে তুলতে হবে! যে নিয়োগ হয়েছে তাতে কোর্টের জটিলতা পাকাতে হবে!
২০২৪ এর এই পর্যায়ে এসে মধ্যবিত্ত শ্রেণির কাছে মমতা ব্যানার্জির প্রধানতম ক্ষোভের বিষয় হিসেবে দুর্নীতির ব্যাপারটি একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়! নানান ধরনের নিয়োগ ক্ষেত্রেও অর্থ লেনদেনের অভিযোগ। সরকারি নিয়োগের ক্ষুদ্রতম ক্ষেত্রটির প্রায় অবলুপ্তি, যার পরিণামে তরুণ যুবক এবং নতুন প্রজন্মের কাছে সরকারের বিরুদ্ধে পুঞ্জিভূত ক্ষোভ! এইটিকে অ্যান্টি কোরাপশন মুভমেন্টে রূপ দিয়ে সরকারটা ফেলা যায় কি? চেষ্টা চলছে! ‘শত্রুর শত্রু আমার বন্ধুরা’ একজোট হয়েছে!
লুলা দ্য সিলভা তো একটু দূরের ব্যাপার! ২০১৪ সালের নরেন্দ্র মোদি অতি নিকটের! মনে পড়ছে কমরেড? ১৫.০৮.২০১১ তারিখ! দিল্লির যন্তর মন্তরে আন্না হাজারের দুপাশে অরুণ জেটলি আর বৃন্দা কারাত! অ্যান্টি কোরাপশন মুভমেন্ট! যে আন্দোলনকে নির্ভর করেই কিছুদিনের মধ্যেই নরেন্দ্র মোদির পার্লামেন্টে সাষ্টাঙ্গ প্রণাম! সংসদ দখল! আজ সেই সংসদের কার্যকারিতা তথা সাংবিধানিক গণতন্ত্রের প্রায় মৃত্যুঘন্টা বাজছে! নিন্দুকে প্রশ্ন তোলে ২০১১ র অ্যান্টি কোরাপশন মুভমেন্টটা তাহলে কুনাট্যরঙ্গ ছিল? আর সিপিএম তার দোসর ছিল?
কিছু বলুন কমরেড! ক্ষমতা থেকে সরে গিয়ে ক্ষমতার স্মৃতিগত অবসেশনে পড়ে বোধ বুদ্ধি সবটাই জট পাকিয়ে গেছে! এই অবসেশনটা তো নতুন নয়!
তাহলে দুর্নীতির বিরুদ্ধে বলা যাবে না?
যাবেই তো। বলতে হবে তো! কিন্তু দুর্নীতির বিরুদ্ধে বলবার দৃষ্টিভঙ্গি কী আর দৃষ্টিকোণই বা কী? তার নেপথের আইডিওলজিটাই বা কি? সেটা কি মার্কসিজম? না পপুলিজম?
ধরা গেল সেটা মার্কসিজম! মার্কসিজমে দুর্নীতিবাচক অপকাণ্ডের সংজ্ঞাটা কী? উদ্বৃত্ত মূল্য আত্মসাৎকারী মুক্তবাজার অর্থনীতির মুনাফা খোরিটাই হলো দুর্নীতি তথা দুর্নীতির আঁতুড় ঘর!
কমরেড কিছু বুঝছেন ? তাহলে সরকারে গেলেই কি কর্পোরেটের দুর্নীতির মুক্তবাজার অর্থনীতিকে রোখা যাবে, বিকল্প অর্থনীতি প্রণয়ন করা যাবে, সে বড় কঠিন কাজ, বিরাট বিপ্লব হওয়া দরকার!
বিপ্লব? আরে না বাবা, বড্ড চাপের ব্যাপার! ঝুট ঝামেলাই যাওয়ার দরকার কী! দূর ছাই ওসব বাজে কথা বকে লাভ নেই। ওসব বিপ্লব ফিপ্লব হবে না! ক্ষমতা দখল করা দরকার, ভদ্রলোকের শাসন প্রতিষ্ঠা হওয়া প্রয়োজন। এরা যা খুশি তাই শুরু করেছে! শিক্ষা-দীক্ষা মান-মর্যাদা রুচি-অরুচি কোনো কিছুই আজকে সম্মান পাচ্ছে না!
হুম ভাইয়া এই হচ্ছে ব্যাপার! দুর্নীতি টুর্নীতি ব্যাপারটা কী হচ্ছে? এই চালচোর, বালুচর কয়লাচোর ,চাকরি চোর ইত্যাদি এইটাই ব্যাপার! ওকে?
ভ্যাবলা প্রশ্ন করল, আচ্ছা বুঝলাম তেনারা একটু ভদ্র নোকদের শাসন চাইছেন। ভদ্র নোকরা শাসন ক্ষমতা থেকে দূরে আছে বেশ কিছু কাল! তেনারা একটু শাসন করবেন ক্ষতি কী! কিন্তু আমি বলি কি ওই দুর্নীতির ব্যাপার-স্যাপার আমি আমার ক্ষেত্রে কিছু দেখতেছি না ভাই। সরকার তো কিছু রিলিফ দিচ্ছে।
সে শুনেছি আগেও দিত ! তাতে তো ভাই পার্টির বড় চাপ ছিল। এখন তো কিছুই দেখছি না! এই হচ্ছে বিষয়!
তাহলে নাড়ু ভাই আসলে কী চাই? একটু মনের শান্তি চাই, একটু সুখ চাই, অ্যান্টি কোরাপশন মুভমেন্ট! এসব চাই! রাজ্যে দেশে ২০১৪ পরবর্তী সময়ে যে সাম্প্রদায়িক বিভাজন সংঘটিত হয়েছে তাকে আরো বলবর্তী করা চাই। বাঙালিকে অ্যান্টি কোরাপশন মুভমেন্টের নামে মাতিয়ে স্বৈরতন্ত্রের পদপ্রান্তে আত্মসমর্পণ করানো চাই! এইটুকুই, শুধু এইটুকুই চাই ভগবান! আর কিছু চাইনে! তুমি দেবে না, ভগবান? ও ভগবান! যতই লোকে নাস্তিক বলুক তুমি তো জানো আমি কতটা তোমারে ভয় পাই, তোমার ভক্তি করি! কিন্তু তা সংগোপনে করি! দেবে না, ভগবান! চালিয়ে যান, ভগবান দিন বা নাদিন বিভাজনটা আরেকটু বাড়ান। পেয়ে যাবেন। ডু ফুর্তি!
- দ্বি-মাসিক পত্রিকা -
সম্পাদক: মোঃ আযাদ হোসেন
গ্রাহক পরিষেবা: রনিক পারভেজ, ৯৩৭৮৪৮০১৯১
পাণ্ডুলিপি (ম্যানুস্ক্রিপ্ট) প্রস্তুতি ও সম্পাদনা : মোঃ মিনারুল হক
নামলিপি ও প্রচ্ছদ চিত্র: হিমাদ্রী শেখর মজুমদার
সত্বাধিকার: ভয়েস মার্ক কালচারাল গ্রূপ
RNI Ref. Number: 1343240
সম্পাদকীয় দপ্তর:
ভগবানপুর , আষাঢ়িয়াদহ
লালগোলা, মুর্শিদাবাদ
পিন - ৭৪২১৪৮
azadm.1981@gmail.com, voicemark19@gmail.com